বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাছে অ্যারোনটিক্যাল ও নন অ্যারোনটিক্যাল চার্জ হিসেবে ৩১৭২ কোটি ৮৫ লাখ ১৯ হাজার টাকা পায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এ সংক্রান্ত সর্বশেষ নথিতে এ তথ্য উঠে এসেছে। যদিও এ পাওনা আদায়ে বেবিচক কী উদ্যোগ নিচ্ছে তা পরিষ্কার নয়। তবে বিষয়টি নিয়ে গত ৩ নভেম্বর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি দিয়েছে বেবিচক।
জানা গেছে, দেশে ৮টি বিমানবন্দর চালু রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সিলেটে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অন্যতম। এ ছাড়াও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলো হচ্ছে- কক্সবাজার বিমানবন্দর, যশোর বিমানবন্দর, শাহ মখদুম বিমানবন্দর, সৈয়দপুর বিমানবন্দর ও বরিশাল বিমানবন্দর। এসব বিমানবন্দরে উড়োজাহাজের অ্যারোনট্যিাল চার্জ তথা ল্যান্ডিং, পার্কিং, রুট নেভিগেশন, সিকিউরিটি ও বোর্ডিং ব্রিজ ব্যবহারের জন্য বিমানের এই চার্জ ধরেছে বেবিচক। এ ছাড়া নন অ্যারোনটিক্যাল চার্জ হিসেবে এয়ারলাইন্সের অফিস বা জমির ভাড়া, পানি ও বিদ্যুৎ, ওয়াচ আওয়ার এক্সটেনশনের পাওনাও রয়েছে।
জানা গেছে, বিমানের কাছে অ্যারোনটিক্যাল ও নন-অ্যারোনটিক্যাল চার্জ মিলে শাহজালাল বিমানবন্দরের মাধ্যমে বেবিচকের পাওনা ২২৭৫ কোটি ৩৯ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। শাহ আমানত বিমানবন্দরের পাওনা ৫১৫ কোটি ৭১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা, ওসমানী বিমানবন্দরের পাওনা ৩৮০ কোটি ১৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকা, কক্সবাজার বিমানবন্দরের পাওনা ৯৯ কোটি ৯৪ হাজার টাকা, যশোর বিমানবন্দরের পাওনা ১৯ কোটি ৬৮ হাজার টাকা, রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দরের পাওনা ১৫ লাখ ৮২ হাজার টাকা, সৈয়দপুর বিমানবন্দরের পাওনা ১৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ও বরিশাল বিমানবন্দরের পাওনা ৫ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। বিষয়টি নিয়ে বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার বলেন, বিমানের কাছে বেবিচকের পাওনা রয়েছে তা জানি। তবে কী পরিমাণ তা বলতে পারব না।
এদিকে বিমান ছাড়াও বেবিচকের পাওনা রয়েছে অন্য এয়ারলাইন্সের কাছে। ২০২০ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের কাছে বেবিচকের বকেয়া পাওনা ১৯০ কোটি ১৬ লাখ ১৬ হাজার ৯৩৫ টাকা, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের কাছে বকেয়া পাওনা ২৩৬ কোটি ৯ লাখ ৩২ হাজার ৭০ টাকা এবং জিএমজি এয়ারলাইন্সের কাছে বকেয়া পাওনা ৩২৬ কোটি ১৪ লাখ ৯ হাজার ৫৪৫ টাকা। এর মধ্যে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে কোনো প্রকার ঘোষণা ছাড়াই ফ্লাইট অপারেশন বন্ধ করে দেয় ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। ২০০৫ সালে বেবিচকের অনুমোদন পাওয়ার পর ২০০৭ সালের ১০ জুলাই ফ্লাইট অপারেশন শুরু করেছিল এ এয়ারলাইন্সটি।
Leave a Reply